পুলিশ সদরদপ্তর তথাকথিত ছেলেধরার সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে আহ্বান জানিয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে চলমান উদ্ভট গুজবে কান না দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি পদ্মা সেতু নির্মাণে এক লাখ মানুষের মাথা প্রয়োজন বলে উদ্ভট গুজব ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার নেত্রকোনায় শিশুর কাটা মাথা পাওয়া যায় এক যুবকের কাছে। তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে বিক্ষুব্ধ জনতা। যদিও পরে পুলিশ জানায় এই ঘটনার সঙ্গে পদ্মা সেতুর গুজবের কোনো সম্পর্ক নেই।
এছাড়া শনিবারও ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে দুজনকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই পুলিশ সদরদপ্তর বিজ্ঞপ্তি দিল।
আজ শনিবার বিকালে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে একটি গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারি অপরাধ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো নিহতের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
- বন্যা পরিস্থিতি : ত্রাণ বিতরণে কাজ করবে আওয়ামী লীগের ৬ টিম
- প্রিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে : কাদের
- নয়াদিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত আর নেই
পুলিশ সদরদপ্তর দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।