বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ঢাকায় বসে ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীরা গলাবাজি করছেন।
রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চলে এখন বন্যায় সর্বস্বহারা মানুষের হাহাকার চলছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নতুন করে আরও পাঁচ জেলায় পানি প্রবেশ করেছে।
তিনি বলেন, শুকনো আশ্রয় ও খাবারের সন্ধানে ছুটছে বানভাসি মানুষ। কোথাও ত্রাণের গাড়ি কিংবা নৌকার সংবাদ শুনলেই ছুটে যাচ্ছেন তারা।
‘ত্রাণের অভাবে যখন করুণ অবস্থা, তখন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ঢাকায় বসে গলাবাজি করছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ পৌঁছেনি এখনও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন, সেটি আমরা লক্ষ্য করছি না।’
- আরও পড়ুন >> এবার প্রিয়া সাহা নিয়ে ফেসবুকে জয়ের স্ট্যাটাস
রিজভী আরও বলেন, সরকারের চরম উদাসীনতা প্রমাণ করে জনগণের প্রতি তাদের ন্যূনতম কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনবিদ্বেষী। সরকারের দায়িত্ব বন্যাকবলিত মানুষকে রক্ষা করা। যেটি সরকার করছে না।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে চার দিনে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে তিন জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জামালপুরে ৪, শেরপুরে ৪, গাইবান্ধায় দুজন রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সহায়সম্পদ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বন্যার্তরা। অনেকেই পরিবারসহ ডিঙি নৌকায় আশ্রয় নিয়েছেন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ছোট ছোট নৌকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে কাটছে তাদের জীবন।
রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছি। এই লক্ষ্যে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কমিটির সদস্যরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি।