নীলফামারীতে হরিজন সম্প্রদায়ের এক যুবক মুখে গামছা বেঁধে ৬৫ বছরের ঘুমন্ত বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করেছে। জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি ঈদগাহপাড়া গ্রামে আজ সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ধর্ষক সাধন দাসকে আটক করে। আটক সাধন দাস চিলাহাটি মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের ঝাড়ুদার শংকর দাসের ছেলে। ধর্ষণের শিকার বৃদ্ধার স্বামী একই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার বৃদ্ধা চার সন্তানের জননী। চার সন্তানকেই বিয়ে দিয়েছেন তিনি। বৃদ্ধার নাতি-নাতনি রয়েছে। মার্চেন্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের জমিতে ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন ওই বৃদ্ধা।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধা বলেন, অন্য ধর্মের হলেও সাধন দাস আমাকে বড় আম্মা বলে ডাকত। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে আমার স্বামী বিদ্যালয়ে পাহারা দিতে চলে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি আমি। কিন্তু ফজরের আজানের কিছু সময় আগে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে সাধন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মুখে গামছা বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় সে।
সকাল ৬টার দিকে স্বামী বাড়ি এসে ঘরের সিঁধ কাটা দেখে চিৎকার করলে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারা এসে দেখেন গুরুতর অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন বৃদ্ধা।
সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ঘটনার বিস্তারিত জানান বৃদ্ধা। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে সাধন দাসকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করেছে সাধন দাস। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে সে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।