রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে তাছলিমা নামের নারীকে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন জাফর, শাহীন, বাপ্পী।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে বাড্ডা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ভাইরাল হওয়া হৃদয় নামের অভিযুক্ত একজনকে এখনও আটক করা যায়নি।
গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাছলিমা বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। স্কুলের সামনের গেইটে অভিভাবকরা তার কাছে ভেতরে যাওয়ার কারণ জানতে চান।
তাছলিমা জানান, তার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করবেন। এ সময় অভিভাবকদের কাছে তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তারা তাকে ধরে প্রধান শিক্ষিকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে তার নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
- আরও পড়ুন, উত্তর প্রদেশে বজ্রপাতে নিহত ৩২, আহত ৩৩
এদিকে, স্কুলে ছেলেধরা এসেছে-এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেখানে বাঁশের বাজারসহ আশপাশের এলাকার লোকজন ভিড় করে। কিছুক্ষণ পর তাছলিমা প্রধান শিক্ষিকার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় জড়ো হওয়া লোকজন তাকে ধরে স্কুলের সামনেই পিটুনি দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি নিথর হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করা হয়। তাছলিমার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, আড়াই বছর আগে তাছলিমা বেগম রেনুর সঙ্গে তার স্বামীর তালাক হয়। এ ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তার ১১ বছরের একটি ছেলে ও চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ছেলে তার স্বামীর কাছে থাকে। আর মেয়েটি থাকতো তার সঙ্গে।