ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসহীন সব পরিবহনের লাইসেন্স নবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পহেলা আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করা না হলে আগামী ১৫ অক্টোবর পরিবহনগুলো জব্দের নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে আদালত।
আদালতের এই আদেশ ব্যাপকভাবে পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতের এই আদেশ কতটুকু বাস্তবায়ন করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান ও পুলিশের আইজিকে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বিআরটিএ-এর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও মো. রাফিউল ইসলাম।
- আরও পড়ুন, মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি ৩০ জুলাই
এর আগে বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে পরিবহনের বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে এবছর ছয় কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৭২৮ জন চালককে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি।
এর আগে গত ২৪ জুন ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি ও লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকদের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।