বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালিত ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীতে উচ্ছেদ অভিযান আপাতত শেষ হয়েছে।
তবে আবারও অভিযানে নামতে পারে সংস্থাটি। নৌ মন্ত্রণালয়ের নদী সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তার দিনক্ষণ পরে ঠিক হবে।
জানা যায়, চার পর্বে ৫০ দিনের এ উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ১২১ একর জমি। জব্দ মালামাল নিলামে বিক্রিতে সংস্থাটির আয় হয়েছে ১১ কোটি টাকা।
আজ বুধবার উচ্ছেদ অভিযানের ৫০ তম দিনে ফতুল্লার মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ডিপো থেকে এনায়েত নগর পর্যন্ত নদীর দুই তীরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডিব্লিউটিএ।
এ সময় উদ্ধার হয় নদীর প্রায় দুই একর জায়গা। আর এই জায়গা উদ্ধার করতে বিআইডিব্লিউটিএকে উচ্ছেদ করতে হয়েছে ৬৬টি অবৈধ স্থাপনা। যা নদীর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল।
উচ্ছেদকৃত স্থাপনার মধ্যে রয়েছে তিনটি দোতলা পাকা ভবন, ১১টি একতলা পাকা ভবন, ৮টি সীমানা প্রাচীর ও ২৯টি টিনের ঘর।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা বিআইডিব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন জানান, উচ্ছেদকৃত মালামাল ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামুড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডিব্লিউটিএ। নদী দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ছোট-বড় স্থাপনা উচ্ছেদ করে সংস্থাটি।
চার পর্বে পরিচালিত মোট ৫০ কার্যদিবসের উচ্ছেদের বিবরণে সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক জানান, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর উভয় তীর মিলিয়ে সর্বমোট ১৫৭ কিলোমিটার নদী তীরভূমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এ সময় মোট ৭২৫টি পাকা স্থাপনা, ৯৮৬টি আধা পাকা স্থাপনা, ৩২১টি সীমানা প্রাচীর ও অন্যান্য ২ হাজার ৭৪০টি অবৈধ স্থাপনাসহ মোট চার হাজার ৭৭২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আর এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে উদ্ধার হয়েছে নদীর প্রায় ১২১ একর জায়গা।
- উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে : আইজিপি
- যুক্তরাষ্ট্র আদালতকে উপেক্ষা করে অভিবাসী তাড়াবে
নদী উদ্ধারে গিয়ে নদী দখলদারদের জরিমানাও করেছে বিআইডিব্লিউটিএ। এ সময় জরিমানা আদায় হয়েছে সর্বমোট ১০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
এছাড়া উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে সংস্থাটি আয় করেছে ১০ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৪ শত টাকা। অর্থাৎ জরিমানা ও নিলামের মাধ্যমে সংস্থাটির আয় ১০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৩০০ টাকা।