যুক্তরাষ্ট্র আদালতকে উপেক্ষা করে অভিবাসী তাড়াবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র আদালতকে উপেক্ষা করে অভিবাসী তাড়াবে
ছবি : ইন্টারনেট

ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আদালতকে পাশ কাটিয়ে দ্রুত অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে নতুন একটি প্রক্রিয়া চালু করতে যাচ্ছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অবৈধ অভিবাসী যদি প্রমাণ করতে না পারেন যে তিনি টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে তা হলে তাকে দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার থেকে নতুন এ নিয়মটি জারি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিনই থেকেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এটি কার্যকর শুরু হচ্ছে। খবর বিবিসির।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, তারা নতুন এ নিয়মটি আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছে।

নতুন এ অভিবাসন নীতি এমন সময় কার্যকর করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যখন দক্ষিণ সীমান্তে আটক কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে অব্যাহত সমালোচনার মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নের পরিকল্পনা করছেন।

আগের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি দুই সপ্তাহের কম সময় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলে এবং তাকে সীমান্তের ১০০ মাইলের মধ্যে আটক করা হলে দ্রুত তাকে ফেরত পাঠানো হতো। কোনো অভিবাসীকে দেশের ভেতরে পাওয়া গেলে কিংবা দুই সপ্তাহের বেশি তার অবস্থান হলে তাকে ফেরত পাঠাতে হলে প্রশাসনকে আদালতের দ্বারস্থ হতে হতো। ওই অভিবাসী আইনজীবী নিয়োগের অধিকার ভোগ করতেন।

তবে নতুন নিয়মে দেশের যে কোনো স্থান থেকেই আটক করা হোক না কেন কিংবা যখনই তাদের আটক করা হোক না কেন অবৈধ অভিবাসীরা আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন এ নিয়মের বদৌলতে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছে তারা।

অভিবাসী পুনর্বাসন চুক্তিতে সম্মত ৮ ইউরোপীয় দেশ

ভূমধ্যসাগরে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের পুনর্বাসনে আটটি ইউরোপীয় দেশ সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধা এ তথ্য জানিয়েছেন।

দেশগুলো হল- ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ ও পর্তুগাল। ম্যাত্রেঁদ্ধা জানান, প্যারিসে অনুষ্ঠিত ফ্রাঙ্কো-জার্মান পরিকল্পনার নীতিকে সমর্থন দিয়েছে আরও ছয়টি দেশ। যেসব দেশ অভিবাসীদের গ্রহণে সম্মতি জানাবে না সেই দেশগুলো ইইউ কাঠামোগত তহবিল বরাদ্দ দিতে তিনি রাজি হবেন না।

ইউরোপে অভিবাসীদের প্রবেশের দ্বার ইতালি হলেও প্যারিস আলোচনায় দেশটি উপস্থিত ছিল না। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও সালভিনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। প্রতি বছর কয়েক হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে।

ইউরোপ পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে লিবিয়া গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখান থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পথে ও অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকায় করে অভিবাসীরা সাগর পাড়ি দেয়। পথে জাহাজ ও নৌকাডুবিতে অনেক অভিবাসীর মৃত্যু হয়। তবে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ইতালি ও ইইউ দেশগুলোর ভূমিকার কারণে অভিবাসীদের ঢল নাটকীয় হারে কমেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে