সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ২৫ আগস্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

সামিয়া আফরিন সায়মা
সামিয়া আফরিন সায়মা। ফাইল ছবি

ঢাকার ওয়ারীতে অবস্থিত সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ২৫ আগস্ট দিন ধার্য করেছে আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরজুন প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম মাইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেছেন।

universel cardiac hospital

গত ৭ জুলাই মামলার একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদকে তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরের দিন হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে।

গত ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। রাত ৮টার দিকে নবনির্মিত ভবনটির ফাঁকা ফ্ল্যাটের ভেতর মৃত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। ওয়ারী সিলবারডেল স্কুলের নার্সারিতে পড়ত সায়মা। ওই ভবনের ছয়তলায় শিশুটি পরিবারের সঙ্গে থাকত।

শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সায়মা সবার ছোট।

ওইদিন নিহত সায়মার বাবা আব্দুস সালাম জানিয়েছিলেন, মাগরিবের আজানের সময় তিনি নামাজ পড়তে মসজিদে যান। পরে মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় এসে দেখেন মেয়ে সায়মা নেই। পরে স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে বের হন। এরপর আটতলা ভবনের ওপর বাড়তি অংশের রান্নাঘরে মেয়ের লাশ পান তিনি।

লাশের ময়নাতদন্ত শেষে কালের কণ্ঠকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, শিশুটিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। বাহ্যিকভাবে শিশুটির গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার ঠোঁটে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তা ছাড়া শিশুটির শরীরে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে