নয় বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীসহ ১০৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবীর সরকারের আদালতে এ মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন করেন।
এদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। এরপর আদালতে হুইল চেয়ারে করে সাঈদীকে হাজির করা হয়।
রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা ও জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শিরাজি শওকত সালেহীন জানান, মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১১০ জন। এদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। ২০১২ সালের জুলাই মাসে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠন করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার ৬০ আসামি জামিনে আছেন। অন্যরা পলাতক। এ মামলায় সাঈদীও জামিন রয়েছেন। তবে অভিযোগ গঠনের সময় আসামিদের হাজির থাকতে হয়। তাই সাঈদীকে রাজশাহী আনা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রশিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে ম্যানহোলে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি রাবি ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও আসামি করা হয়।
এদিকে সাঈদীকে আদালতে আনা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়। আদালত চত্বরের কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তল্লাশি ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।