মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাদ্রাসাছাত্র আবির হোসাইনের (১১) বিচ্ছিন্ন মাথাটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমবাগানের পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল মাথা উদ্ধার করার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার সারাদিন ও রাতে নিহত মাদ্রাসাছাত্রের মাথা খোঁজাখুজি করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডুবুরিদলকে পাশের পুকুরে নামানো হয়। চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারি পরিচালক আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একদল ডুবুরি পুকুরে অনুসন্ধান করে মাথা উদ্ধার করে। পুলিশের ধারণা, হত্যাকারি হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করার পর পাশের পুকুরে মাথা ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা মাথা প্রয়োজনীয় আইনগত কাজের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহত মাদ্রাসাছাত্রের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার দৌলতপুর গ্রামে। সে আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র ছিল।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের ছেলে মো. আবির হোসাইন গত ১৫ জুন আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভর্তি হয়। মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার সময় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রাতে আরো খোঁজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে মাদ্রাসায় খবর আসে আবিরের লাশ পড়ে আছে মাদ্রাসার ৩০০ গজ পেছনের একটি আমবাগানে। তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার হয়েছে তবে, মাথা পাওয়া যায়নি। কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।
ওসি আরো জানান, সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজে নিয়োজিত চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, আবিরকে হত্যার আগে বলাৎকার করা হয়েছে।