যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৬ বছর পর ফের কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা কার্যকর হতে যাচ্ছে মৃত্যুদণ্ডের সাজা; যা নিয়ে বইতে শুরু করেছে সমালোচনার ঝড়।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে সাজাপ্রাপ্ত ৫ কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার নির্দেশনা দেন।
এক বিবৃতিতে বারের ওই নির্দেশনার বিষয়টি জানার পরই তা নিয়ে দেশটির মানবধিকারকর্মী ও কংগ্রেসে বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষ থেকে সমালোচনা শুরু হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এই পাঁচ কয়েদির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এবং ২০২০ সালের জানুয়ারিতে।
১৯ বছর বয়সী ট্রেসি জয় ম্যাকব্রাইড নামের এক সৈনিককে অপহরণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশ নেওয়া ৫৩ বছর বয়সী সৈনিক লুই জোনস জুনিয়র।
ওই মামলায় জোনসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০০৩ সালে। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয়ভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত রয়েছে। তবে বিচার বিভাগের নতুন এ ঘোষণার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর পদ্ধতি আবার ফিরে এলো।
ডেমোক্র্যাট দলের কামালা হ্যারিস মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই সিদ্ধান্ততে ‘অনৈতিক এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছে। বার্নি স্যান্ডার্সও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। সমালোচনার তীর ছুড়েছেন ডেমোক্র্যাট থেকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতাকারী পিটে বুটিগেগও।
অমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন কাছাকাছি সময়ের মধ্যে পরপর ৫টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছে। তারা বলছে, বিষয়টির প্রতিটি ক্ষেত্রে ন্যায্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ পেনাল্টি ইনফরমেশনের রবার্ট ডানহাম বিষয়টিতে ‘বিস্মিত’ হবার মতো কিছু নেই বলে মনে করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই সর্বোচ্চ সাজার কট্টর সমর্থক। যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে, তাতে কোনো চমক নেই।