দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। ডেঙ্গুর মতো মহামারিতে দেশের মানুষের মৃত্যু যেন তাদের কাছে খেলা। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও এখনো কার্যকর ওষুধ কেনার কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি সরকার। ন্যূনতম লজ্জা-শরম থাকলে এই ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-মেয়ররা পদত্যাগ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, এডিস মশাবাহিত এ রোগে এ পর্যন্ত অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হিসাবানুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা হবে আরও বেশি। অথচ স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে- ডেঙ্গুজ্বরে মাত্র আটজন রোগী মারা গেছে। এই ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে আতংকে দিনযাপন করছেন নগরবাসী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে ক্ষমতাসীনদের এসব নিষ্ঠুর তামাশায় ফরাসী বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের কাণ্ডজ্ঞানহীন রানীর কথাই মনে পড়ে। যখন এক টুকরো রুটির জন্য সারা প্যারিস শহরের মানুষ হাহাকার করছে, তখন ফ্রান্সের রানী সেই কথা শুনে বলেন-রুটি না থাকলে কেক খাবে।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখন মধ্যরাতের ভোট চুরির সরকার এনিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছে। মশা নিধনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর গবেষণায় যে ওষুধ অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে, সেগুলো দিয়েই চলছে ঢাকার দুই সিটির মশক নিধন কার্যক্রম। আর চরম ব্যর্থ মন্ত্রী-মেয়ররা হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্রের মতো প্রলাপ বকছেন।
তিনি বলেন, ওষুধ কেনায় ভয়াবহ দুর্নীতি আর অদক্ষতা ঢাকতেই ডেঙ্গুর মহামারিকে ঢাকার ভোটারবিহীন মেয়র’রা ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে তারা রসিকতা করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডেঙ্গু মশার প্রজনন রোহিঙ্গাদের মতো, তাই এটি প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।