পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অপরাধীকে সুরক্ষা এবং হেফাজতে থাকাদের নির্যাতনের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বরগুনার রিফাত হত্যা, ফেনীর নুসরাত হত্যা ও কক্সবাজারের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর ধর্ষণের মতো আলোচিত মামলায় পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা, বিশেষ করে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনসহ অপরাধের শিকার ব্যক্তি যারা মামলার মূল সক্ষী তাদের ও পরিবারের সুরক্ষার পরিবর্তে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির ধারাবাহিক অভিযোগ উঠেছে।
প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগসাজশে জোর করে বরগুনায় নিহতের স্ত্রী ও মামলার প্রধান সাক্ষী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে মিন্নির বাবা ও তার আইনজীবীর অভিযোগে স্থানীয় পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা গুরুতরভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, আলোচিত এ অপরাধের ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আইনের লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক ও শুদ্ধাচার পরিপন্থি আচরণের মাধ্যমে একদিকে অপরাধী বা তাদের দোসরদের সঙ্গে যোগসাজসমূলক সুরক্ষা দিচ্ছে।
- আরও পড়ুন >> ডেঙ্গুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু
‘অন্যদিকে যারা অপরাধের শিকার তাদের নিরাপত্তা বিধানের পরিবর্তে হেফাজতে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে সাক্ষী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যে নিরাপত্তাহীনতার চিত্র প্রকাশিত হচ্ছে তাকে বিচ্ছন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোকো সুযোগ নেই।’
‘ঢালাওভাবে অস্বীকার করার যেমন অবকাশ নেই, তেমনি বিভাগীয় পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সময়ও ফুরিয়ে গেছে। সংবিধান স্বীকৃত ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন, যা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত, যার অবস্থান আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তা ধূলিস্যাৎ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হবে যদি এ ধরনের অভিযোগ উপেক্ষা করা হয়, যদি এ ধরনের অপরাধের প্রতিকার না হয়।’