ভারতের মধ্যপ্রদেশে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তেজিত জনতা দেশটির প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের তিন নেতাকে গণপিটুনি দিয়েছে।

গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ডুয়ার্সের নাগরাকাটা থানা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক ভবঘুরেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

universel cardiac hospital

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার নবলসিন্ধ গ্রামে গণপিটুনির এ ঘটনা ঘটে।

গত সপ্তাহ থেকে মধ্যপ্রদেশ জুড়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির এরকম এক ডজনের বেশি ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।

‘ছেলেধরাদের একটি দল গাড়ি নিয়ে শিশুদের চুরি করতে এসেছে’ এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর নবলসিন্ধ গ্রামের বাসিন্দারা গাছ ফেলে পাশের প্রধান সড়ক আটকে দেয়।

এদিকে ওই রাতে কংগ্রেসের তিন স্থানীয় নেতা গাড়িতে করে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন।

পুলিশ জানায়, রাতের বেলা সড়কে গাছ ফেলা দেখে ওই তিন নেতা ভেবেছিলেন ডাকাতির জন্য ডাকাতরা এ কাজ করেছে। তাই তারা গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

‘তাদের গাড়ি ঘুরাতে দেখে জনতা ছেলেধরা ভেবে ধাওয়া দেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যে গাড়ি আটকে প্রথমে ভাংচুর করে। পরে তাদের গাড়ি থেকে বের করে গণপিটুনি দেয়।’

এ ঘটনায় বেতুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ থানাতেই গণপিটুনির আরো তিনটি মামলা হয়েছে।

এছাড়া ইন্দোর, ভোপাল, হোশাংয়াবাদ, সেহর, নিমুচ, রাইসেন ও দেবাস জেলায় ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।

দেবাসে শনিবার উত্তেজিত জনতা ছেলেধরা সন্দেহে এক প্রতিবন্ধী নারীকে মারধর শুরু করলে পুলিশ ওই নারীকে রক্ষা করে।

এছাড়া, গত সপ্তাহে রাইসেন জেলায় মাঝ বয়সের একটি নারীকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করে স্থানীয় জনগণ।

প্রতিবেশী বাংলাদেশেও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। সেখানে পিটুনিতে এক নারীসহ একাধিক ব্যক্তির প্রাণ গেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে