গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আবদুল হাই সরকার জানান, সাঁওতালপল্লীতে হামলার মামলা তদন্ত শেষে ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও রয়েছেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, চার্জশিটে অভিযুক্ত ৯০ আসামির মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন— সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদ বুলবুল, ইউপি সদস্য শাহ আলম ও আইয়ুব আলী, মাহিমাগঞ্জ সুগার মিলের (জিএম-অর্থ) নাজমুল হুদা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হাই সরকার জানান, ঘটনার নেপথ্য কারণ উদ্ঘাটন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত শেষ করতে প্রায় আড়াই বছর সময় লেগেছে। ঘটনায় প্রকৃত দায়ীদের আইনের আওতায় আনতেই চার্জশিট দাখিলে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।
তিনি আরও জানান, মামলার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্তদের মধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া লুটপাট হওয়া বেশ কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।
৯০ আসামির মধ্যে ২৫ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালেও তারা সবাই জামিনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আখ কাটা কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিকদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল মারা যান। এ সময় তাদের বসতঘরগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন সাঁওতালরা।