পাস্তুরিত দুধকে নিরাপদ করতে যেসব সুপারিশ করলেন গবেষক দল

ডেস্ক রিপোর্ট

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ফাইল ছবি

পাস্তুরিত দুধ নিয়ে গবেষণা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও তাঁর গবেষক দল দুধকে নিরাপদ রাখতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন।

আজ সোমবার অধ্যাপক ফারুক গণমাধ্যমকে তাদের এই সুপারিশগুলো জানান।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, সুপারিশগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ ও উচ্চ নৈতিকতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটি প্রতি দুই মাসে এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন দেবে।

সুপারিশগুলো হলো—

কোম্পানির পাস্তুরাইজেশন ইউনিটকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মাত্রায় সংস্কার করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধ ও প্রশিক্ষিত করতে হবে।

সব প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউওইচও) ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)র নির্দেশনা অনুসরণ করে পাস্তুরাইজেশনের জন্য বাংলায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিজিওর তৈরি করতে হবে। এই এসওপি প্রতিটি ইউনিটের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে হবে যেন সেটি সবার দৃষ্টিগোচর হয়।

মানবদেহে ব্যবহৃত এমন কোনো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে কোনো গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি বা মাছের চিকিৎসা করা যাবে না। প্রাণিসম্পদ চিকিৎসকেরা যেন এমনটি না করেন সে জন্য দ্রুত নির্দেশনা জারি করতে হবে। অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

গবাদিপশুকে তাদের জন্য নির্ধারিত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

কোনো গবাদিপশু বা হাঁস-মুরগি বা মৎস্য খামারে ব্যবহৃত পশুখাদ্য যেমন ক্যাটল ফিড, পোলট্রি ফিড ও ফিশ ফিডে কোনো অবস্থাতেই মানবদেহে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে কড়া নির্দেশনা জারি করা ও অমান্যকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

উল্লেখ্য ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী এসব খাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে