কুষ্টিয়ায় চাঞ্চল্যকর লালচাঁদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২ আসামির ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস ফুলতলা কলোনি এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে জাহেদ ইবনে শহীদ ওরফে রানা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ফুলছরী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান সজীব।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস ফুলতলা কলোনি এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে সোহেল আহম্মেদ, একই এলাকার কাইয়ূম বিহারীর ছেলে সোহেল রানা, চৌড়হাঁস কুঠিপাড়া এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে শাহিন উদ্দিন, চৌড়হাঁস এলাকার মঞ্জিল হোসেনের ছেলে মো. জনি, চৌড়হাঁস ফুলতলা এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে মো. রিপন ও চৌড়হাঁস কুঠিপাড়া এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে মো. সুমিন।
একইসঙ্গে আদালত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) আকরাম হোসেন দুলাল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩ মার্চ সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস কলোনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নূর ইসলামের ছেলে মো. লালচাঁদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত লালচাঁদের বাবা নূর ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।