রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীনের মৃত্যু হয়। তার চিকিৎসা বাবদ বিশাল অংকের বিল দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্বাধীনের স্বজনরা।
স্বজনদের অভিযোগ, বিলটিতে সামঞ্জস্যহীনতা রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে বেশি বিল নেয়ার প্রমাণ মিলেছে।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের চিকিৎসার বিল বেশি আদায় হয়েছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা নিয়ে সবাই সমালোচনা করছে। বিষয়টি তদন্ত করতে রোববার স্কয়ার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার বিলের কিছু কাগজপত্র এনেছি।
আরও পড়ুন>> ন্যায়বিচার : বিচারপতিদের আরও সক্রিয় হতে বললেন রাষ্ট্রপতি
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বিলের বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। তারা কীভাবে চিকিৎসা দিয়েছে তা আমরা অন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য নিচ্ছি। প্রাথমিক তদন্তে ওষুধের দাম বেশি নেয়ার প্রমাণ পায়েছি। আরও বিভিন্ন খরচ রয়েছে; এসব নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর অতিরিক্ত খরচ আদায় তদারকিতে আগামীকাল (সোমবার) থেকে হাসপাতালগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু করবে অধিদফতর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত ফি বেশি অর্থ আদায় করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ জুলাই রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢাবির শিক্ষার্থী ফিরোজ কবির স্বাধীন। এর আগে ২৫ তারিখ রাত ১১টায় তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২২ ঘণ্টায় চিকিৎসা বাবদ প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বিল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিশাল অংকের এ বিল নিয়ে অভিযোগ তোলেন ফিরোজের স্বজনরা। বিলটি নিয়ে সমালোচনা এবং বিতর্ক তৈরি হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন>> এক ম্যাচ বাকি থাকতেই টাইগারদের সিরিজ হার