২০১৬ সালে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষীরা হলেন- সহকারী পুলিশ কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ ও মো. আব্দুর রহিম, রাঙামাটির কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক খান নুরুল ইসলাম, সিআইডির এসআই নাসিরউদ্দিন, এএসআই গোবিন্দ দাস ও কনস্টেবল মানিক বাবু, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের এসআই সুজন কুমার কুন্ডু ও এসআই আশরাফুল হক, এএসআই মো. নুরুজ্জামান ও আমিনুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মো. মজিবুর রহমান এ সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ৬ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।
সাক্ষ্যে সহকারী পুলিশ কমিশনার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানা থানায় কর্মরত থেকে এক বডিগার্ড মালিক, সাব-ইন্সপেক্টর খালিকসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ডিসি মহোদয় আমাদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য একত্রিত হলে সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। তখন আমার সারা শরীরে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার বিদ্ধ হয়।
তিনি বলেন, আমার বডিগার্ডসহ অন্য সদস্যরা মারাত্মকভাবে আহত হয়। বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার রবিউলকে আহত অবস্থায় দেখতে পাই। ওই সময় এসআই মাহবুব তার গেঞ্জি দিয়ে আমার পা বেঁধে দেয়। রক্তক্ষরণ হওয়ায় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে নিজেকে হাসপাতে ভর্তি অবস্থা দেখতে পাই।
এদিন সাক্ষ্য দেয়া অপর সাক্ষীরাও একইভাবে আহত হন বলে সাক্ষ্যে উল্লেখ করেন।
- বিএনপির আয় বাড়লেও ব্যয় কমেছে
- ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা : ইবনে সিনার বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ
- বিএনপি সব জায়গায়ই ব্যর্থ : ওবায়দুল কাদের
সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন, শফিকুল ইসলাম ওরফে খালেদ, হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।