ইরানের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে চলছে ব্রিটিশ জাহাজগুলো।ব্রিটেনের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালী দিয়ে কোনো জাহাজ নেয়ার পরিকল্পনা আপাতত তাদের নেই।
ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের অর্থবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ব্রায়ান গিলভারি জানান, গত ৪ জুলাই ইরান ও ব্রিটেনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হরমুজ প্রণালীতে তারা কোনো জাহাজ নেননি। এর পরিবর্তে ভাড়া করা জাহাজে করে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালী দিয়ে তেল পরিবহন করছেন তারা।
হরমুজ প্রণালী হয়ে পারস্য উপসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দিতে যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস ডানক্যান এবং ফ্রিগেট এইচএমএস মন্ট্রোজ মোতায়েন করা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম তেলবাহী জাহাজ পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ব্রিটিশ নৌবাহিনী গত ৪ জুলাই জিব্রাল্টার প্রণালীর আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে ২১ লাখ ব্যারেল তেলবাহী ইরানি ট্যাংকার ‘গ্রেস-১’কে আটক করে।
ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে দাবি করে ব্রিটেন জানায়, সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে গিয়ে ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করা হয়েছে।
কিন্তু পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইরানের ওপর আরোপিত আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ওয়াশিংটনের অনুরোধে লন্ডন ওই ইরানি ট্যাংকার আটক করেছে।
পরবর্তীতে গত ১৯ জুলাই পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী অতিক্রমের সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার ‘স্টেনা ইমপেরো’কে জব্দ করে ইরান।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ইরানের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের একটি সুপারট্যাংকার হরমুজ প্রণালীতে না ঢুকে সৌদি উপকূলে অবস্থান করারও খবর বেরিয়েছিল।
ইরানের দাবি মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত জলপথ হরমুজ প্রণালী ও পারস্য উপসাগরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন উত্তেজনার সময় প্রণালীটি বন্ধ করে দেয়ারও হুমকি দেয় ইরান।