ঢাকাই এক অর্থে বাংলাদেশের প্রাণ। মেগাসিটি ঢাকা নিয়ে তাই আমাদের স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নের শেষ নেই। স্বপ্ন দেখি উন্নত বাংলাদেশের উন্নত ও বাসযোগ্য রাজধানী হবে ঢাকা। কিন্তু নগরায়ণে চলমান বিশৃঙ্খলা, দারিদ্র্য, আইন না-মানার অপসংস্কৃতি, নারীর নিরাপত্তাহীনতা, অসহনীয় যানজট ও জলজটের কারণে আমাদের উদ্বেগও কম নয়। এর সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে অপ্রতিরোধ্য ডেঙ্গু। দ্রুত নগরায়ণের অংশ হিসেবে বিপুল নির্মাণকর্ম, নাগরিক অসচেতনতার কারণে নির্মাণাধীন বাড়িতে, যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ ও জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। আর বাড়ছে এডিস মশার উপদ্রব। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট করলেও জনমনে একধরনের ‘প্যানিক’ তৈরি হওয়ায় ডেঙ্গু হয়েছে মনে করে সামান্য জ্বর হলেও অনেকে হাসপাতালে ছুটছেন। চিকিৎসকরা তাই বেশ চাপের মুখেই আছেন। তারা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। তবু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও গণমাধ্যম ডেঙ্গুবিরোধী প্রচারণায় যথেষ্ট তৎপর। ডাক্তাররা বলছেন, এক বা একাধিকবার ডেঙ্গু আক্রান্তদের ফের ডেঙ্গু হলে তা বেশ জটিল হতে পারে। শিশুদের ডেঙ্গুও বাড়তি যত্ন দাবি করে। সর্বত্র একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। এমনি এক ক্রান্তিকালে ঢাকাবাসীর আরো সচেতন ও সক্রিয় হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
এই বাস্তবতায় গত ২৭ জুলাই ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশে ‘নাগরিক ঢাকা’ নামের একটি নবগঠিত সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ঢাকাকে আরো ভালোভাবে বাসযোগ্য করা যায় কী করে, সে বিষয়ে আলাপের আয়োজন করেছিল সংগঠনটি। বলতেই হয়, সংগঠনের সভাপতি নাঈম হোসেন বেশ সফল সংগঠক। প্রায় বারো শর মতো উৎসাহী তরুণকে তিনি সমবেত করেছিলেন। তারা সবাই ঢাকাকে বাঁচাতে আগ্রহী। নিঃস্বার্থ এই তরুণদের ‘ঢাকা বাঁচাও’ আন্দোলনে যুক্ত করে এক বিরাট স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ার সুযোগ রয়েছে। নিশ্চয়ই, নাঈম সে পথেই হাঁটছে। আমাদের উচিত হবে তাকে উৎসাহ দেওয়া এবং তরুণ কর্মীদের উদ্দীপ্ত করা। বুয়েটের শিক্ষক প্রফেসর কায়কোবাদও সেদিন ওই আলাপে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বেশ জোর দিয়েই বললেন যে ঢাকাবাসী সচেষ্ট না হলে ঢাকাকে বাসযোগ্য করা বেশ কষ্টকরই হবে। আরো বললেন, চারপাশের মানুষকে নিয়ে দলবদ্ধভাবে বাঁচার চেষ্টা করাই হবে কাঙ্ক্ষিত উপায়।
আমিও তাঁর সঙ্গে একমত। তাই আমার আলাপের সময় জোর দিয়েছি সামাজিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। মনে হলো, তরুণরা এই সামাজিক দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এই তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে কী করে সুস্থ নগরায়ণের মাধ্যমে ঢাকাকে আমাদের প্রাণের নগরে পরিণত করতে পারি, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া।
সেদিন শুরুতেই বলেছিলাম যে ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে আমার প্রথম দেখা ঢাকার সঙ্গে আজকের ঢাকার যেন কোনো মিলই খুঁজে পাই না। সেবার ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হওয়ার অংশ হিসেবে মৌখিক ও মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতে নিভৃত এক গ্রাম থেকে অচেনা এক ঢাকায় এসেছিলাম। সিএমএইচে সেই পরীক্ষা হয়েছিল। আরামবাগের এক মেসে উঠেছিলাম। সেখান থেকে গুলিস্তানে গিয়ে বাসে উঠে আধা ঘণ্টার কম সময়ে সিএমএইচে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এরপর মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ (এখন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ) থেকে মাঝেমধ্যে ঢাকায় এসেছি। সিদ্ধেশ্বরীতে এক বন্ধুর বাসায় উঠতাম। মূলত রিকশায় বা বাসেই চলাফেরা করতাম। সেদিনের ঢাকায় কোথাও যানজট ছিল না। পরিবেশও ছিল বেশ পরিচ্ছন্ন। ছিল না নিরাপত্তাহীনতার ভয়। মানুষে মানুষে সম্পর্কও ছিল খুবই আন্তরিক। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। গেণ্ডারিয়ার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতাম রিকশায় করে। পরে অবশ্য সূর্য সেন হলে উঠলাম। সে সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে খুবই সক্রিয়। ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকত। ছাত্ররাজনীতির টানাপড়েন সত্ত্বেও আমরা নিয়মিত বিতর্ক ও সংস্কৃতি চর্চা করতে পারতাম। আজ সেই ঢাকা আর নেই। সেই ঢাকা আর এই ঢাকার মধ্যে কতই না তফাত।
সেদিন তরুণদের উদ্দেশে আরো বলেছিলাম যে দি ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তার ২০১৭ সালের ‘অ্যানুয়াল গ্লোবাল লিভেবিলিটি রিপোর্ট’-এ ঢাকাকে বিশ্বের চতুর্থ ‘লিস্ট লিভেবল সিটি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ওই বছর সবচেয়ে ভালো বাসযোগ্য নগর হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নকে বেছে নিয়েছিল। তাদের মতে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা দ্বিতীয় এবং কানাডার ভ্যাংকুভার তৃতীয় ভালো বাসযোগ্য নগর। সামাজিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষাব্যবস্থা ও অবকাঠামোর মতো মৌলিক নাগরিক সুযোগগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই র্যাংকিং করা হয়েছিল। নিঃসন্দেহে এ বৈশিষ্ট্যগুলো বাসযোগ্য নগরের বেলায় মোটামুটিভাবে গ্রহণযোগ্য। ইআইইউর ওই প্রতিবেদনের মতে, সবচেয়ে খারাপ বাসযোগ্য নগরের নাম সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দামাস্কাস। দ্বিতীয় নাইজেরিয়ার লাগোস। তৃতীয় লিবিয়ার ত্রিপলি। আর চতুর্থ ঢাকা। ১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। ঘনবসতি, জীবন চলার ঝুঁকি, সামাজিক ও ফিজিক্যাল বা বস্তুগত অবকাঠামো, কর্মসংস্থানের সুযোগ, জীবন চলার জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার বিচারে ঢাকার এই অবস্থান নিয়ে খুব বেশি তর্ক করার সুযোগ নেই।
নাগরিক অসচেতনতার কারণে যেখানে-সেখানে পলিথিনের ব্যাগ ও বোতল ফেলা হচ্ছে। রাস্তার দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের চ্যানেলগুলো পলিথিন ও অন্যান্য আবর্জনায় বন্ধ। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে। আর সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়ির কাজ তো চলছেই। তা ছাড়া আবর্জনার অব্যবস্থাপনা, বায়ুদূষণ, বিশৃঙ্খল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, যখন-তখন গাড়ির হর্ন বাজানো, অসহনীয় যাটজট, বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে বাসযোগ্য নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান নিয়ে আসলেই উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সবুজায়নের অভাবে কংক্রিটের নগরী এই ঢাকার তাপমাত্রা আশপাশের শহর থেকে অন্তত তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
এই নগরের পরিকল্পনাবিদ, পরিচালক, রেগুলেটর নিশ্চয়ই জানেন যে ঢাকায় দারিদ্র্যের হার বাড়ছে সারা দেশের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি হারে। জলবায়ু পরিবর্তনের চাপে উপকূল, চর, হাওর, নদীভাঙনপ্রবণ ‘হটস্পট’গুলো থেকে নিরন্তর গরিব মানুষ ঢাকায় আসছে। চলমান বন্যার কারণে এই অভ্যন্তরীণ ‘মাইগ্রেশনে’র মাত্রা আরো হয়তো বাড়বে। এই গরিব মানুষগুলো আমাদের নগরজীবনকে নানাভাবেই স্বাচ্ছন্দ্য দিতে কার্পণ্য করে না। অথচ তাদের জন্য সুচিন্তিত কোনো সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা নেই। নেই তাদের সুনির্দিষ্ট আবাসন। কোনোমতে তারা বেঁচে-বর্তে আছে। ন্যূনতম সামাজিক ও অর্থনৈতিক ‘ফ্রিডম’ অনুপস্থিত তাদের জীবনে। রাজউক নিশ্চয়ই বড় বড় পরিকল্পিত নগর বা উপনগর পরিকল্পনা করবে এবং করছেও। তবে এসবই তো করা হচ্ছে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের জন্য। কিন্তু সবচেয়ে অসহায় কম আয়ের মানুষের জন্য টেকসই আবাসনের কথা ভাবার কি কেউ নেই? নগরপিতাদেরও কি এদিকটা নিয়ে ভাবার মতো সামান্য অবকাশও নেই? আমাদের নাগরিক সমাজও কেন নিশ্চুপ এ প্রশ্নে?
তা ছাড়া এই ঢাকা নগরের যাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়ন, ম্যাস ট্রানজিট, সবুজ চত্বর, পার্ক, খেলার মাঠ, হ্রদ ও জলাভূমি সংরক্ষণ, ছাদবাগানসহ নানামাত্রিক সবুজায়নের বিষয় নিয়ে নগর পরিকল্পনা ও পরিচালকদের ভাবতে হবে। হয়তো তাঁরা ভাবছেনও। সেই ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়ণের অপেক্ষায় আছি আমরা। নানা কারণে ভীষণ উদ্বিগ্ন ঢাকাবাসী। তাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে তরুণদেরও যুক্ত করতে হবে। পরিবেশসম্মত জীবন চলার পক্ষে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করতে হবে। মেট্রো রেলের কাজ এগোচ্ছে। অচিরেই হয়তো পাতালরেলের কাজ শুরু হবে। এগুলো সবই ভালো খবর। তা সত্ত্বেও আমরা নাগরিকরা আরো তৎপর না হলে ঢাকাকে সত্যিকার অর্থেই সবার জন্য বাসযোগ্য করা মুশকিল হবে। এখানে যেমন নগর পরিচালকদের উদ্যোগী হতে হবে, তেমনি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। এই আমরাই তো ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে ট্রাফিক আইন ভাঙি না। সেখানে তো যানজট হয় না। কেননা সেখানে চাপ দিয়ে হলেও আইন মানার সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছে। তাহলে নগরের অন্যান্য অংশে এত বিশৃঙ্খলা কেন? ওই সংস্কৃতি কি ‘রেপ্লিকেট’ করা সত্যি অসাধ্য? প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক বেশ কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার সুফল আমরা ঢাকা উত্তরের বাসিন্দারা এখন ভোগ করছি। আশার কথা হলো, বর্তমান মেয়র সেসব উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আরো অনেকটা পথ তাঁকে হাঁটতে হবে। আমরা নাগরিকরা তাঁর সেই হাঁটার পথে সঙ্গী হতে চাই।
আগেই যেমনটি উল্লেখ করেছি, পুরো ঢাকা এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত। নগরবাসী খানিকটা অসহায় বোধ করছে। নাগরিক সচেতনতা ছাড়া এই দুর্যোগ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া বেশ মুশকিল হবে। আমি জানি, আমাদের মেয়ররা এই দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা নাগরিকরা কেন আরো সংঘবদ্ধ হচ্ছি না? কেন আরো সক্রিয় হচ্ছি না? মহল্লায় মহল্লায় কমিউনিটি গ্রুপ গঠন করে ডেঙ্গুর উৎস নির্মূল করা, তরুণদের আরো উদ্বুদ্ধ করে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠিত করা, নির্মাণাধীন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বদ্ধ পানির উৎস উচ্ছেদ করা, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েদের এ বিষয়ে সচেতন করা, ঢাকা শহরকে আরো সবুজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রাণবন্ত করা, সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পক্ষে কমিউনিটিভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তোলার মতো অসংখ্য উদ্যোগ এই আমরা নাগরিকরাই নিতে পারি।
আমার মনে আছে, প্রায় দেড় যুগ আগে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য এমন সামাজিক আন্দোলনের সূত্রপাত আমরা করেছিলাম। তখন আমরা স্কুল, কলেজ, মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে মশা মারতাম। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের পরিচ্ছন্ন থাকতে বলতাম। জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জুয়েল আইচের জাদুর টিকিট বিক্রি করে পয়সা জোগাড় করতাম। তাহলে এখন কেন সমাজ এতটা নিশ্চুপ? নিঃসন্দেহে ঢাকাকে সব অর্থেই বাসযোগ্য, আরো জীবন্ত ও নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারের মধ্যেই পড়ে। বুড়িগঙ্গার পারকে জঞ্জালমুক্ত করে হাতিরঝিলের মতো পরিকল্পিত স্থাপনার যে উদ্যোগ সরকার নিতে যাচ্ছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নদীর জীবন্ত সত্তা যেন কিছুতেই ক্ষুণ্ন না হয়।
আমরা গ্রামেও নগরের সুবিধাগুলো দিতে চাইছি। গ্রাম ও নগরের সংযোগ দ্রুতই বাড়ছে। আমাদের প্রত্যাশা, পুরো দেশই একদিন বাসযোগ্য টেকসই নগরায়ণের আওতায় চলে আসবে। তাই আমরা যেন ঢাকার নগরায়ণের অব্যবস্থাপনা থেকে সারা দেশকে মুক্ত রাখতে পারি, সেদিকটা গভীর মনোযোগের দাবি রাখে। আমরা নাগরিকরা চাই প্রাণবন্ত, সাংস্কৃতিকভাবে গতিময়, নিরাপদ এবং সবুজ নগরায়ণ। তবেই না বিদেশি পর্যটকরাও ঢাকামুখী হবে। ঢাকার রয়েছে পুরনো ঐতিহ্য। আছে তার শিল্প ও সংস্কৃতির সুনাম। ঢাকাবাসীর আতিথেয়তাও সর্বজনবিদিত। আমাদের খাবারদাবার বিদেশিদের খুবই পছন্দের। আমাদের কাচ্চি বিরিয়ানি পর্যটকদের কাছে জগদ্বিখ্যাত এক নয়া ব্র্যান্ড নাম হতে পারে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এসব পুঁজি বিনিয়োগ করেই আসুন আমরা আমাদের প্রাণের ঢাকাকে তার মতো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে দিই। তাকে বাঁচার মতো বাঁচতে দিই। ঢাকা বাঁচলে দেশও বাঁচবে। তাই তরুণদের এ লক্ষ্যে বেশি বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। কেননা আগামী দিনের উন্নত ঢাকা যে তাদের জীবনেই স্বাচ্ছন্দ্য বয়ে আনবে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংক
dratiur@gmail.om