স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই খেলায় হেরে আগেই ট্রফি হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ দল। আজ তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৯৫ রান তাড়া করে জিততে না পারলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে দেশে ফিরতে হবে তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি।
প্রথমে ব্যাট করে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও কুশল মেন্ডিজের জোড়া ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ম্যাথিউস। তার ইনিংসটি ৯০ বলে আট চার ও এক ছক্কায় গড়া। এছাড়া ৫৪ রান করেন মেন্ডিস। ৪৬ ও ৪২ রান করেন করুনারত্নে ও কুশাল পেরেরা।
আজ বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। দলীয় ১৩ রানে লঙ্কান ওপেনার অভিস্কা ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করে টাইগারদের শুরুতে সাফল্যও এনে দেন শফিউল ইসলাম। ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা কুশল পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে দলের ইনিংস মেরামত করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
এই জুটিতে তারা ৮৩ রান যোগ করেন। তাদের এই জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম।ওয়ানডে ক্রিকেটে তিন বছর পর খেলতে নেমে উইকেটের সাফল্য পান তাইজুল। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরের পর ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে কোনো সাফল্য পাননি এই বাঁহাতি স্পিনার।
- আরও পড়ুন >> বেড়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় আয়
আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে আউট করেন তাইজুল।এদিন ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ম্যাচে তাইজুল শিকার করলেন ষষ্ঠ উইকেট। তার স্পিনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে করুনারত্নে করেন ৬০ বলে ৪৬ রান।
এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া কুশাল পেরেরাকে ফেরান রুবেল হোসেন। তার বিদায়ে ৯৮ রানে ৩ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নয়ে অনবদ্য জুটি গড়েন শ্রীলঙ্কান সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এই জুটিতে তারা ১০১ রান যোগ করেন।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ম্যাথিউস-মেন্ডিসের মধ্যকার জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। ফিফটি তুলে নেয়া কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন সৌম্য। তার আগে ৫৮ বলে ৫৪ রান করেন মেন্ডিস। তার বিদায়ে ৪১.৩ ওভারে ১৯৯ রানে ৪ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালান দাসুন শানাকা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। পঞ্চম উইকেটে ম্যাথিউসের সঙ্গে মাত্র ২৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন শানাকা। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ১৪ বলে ৩০ রান করা শানাকাকে দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন শফিউল। সাব্বির রহমান রুম্মনের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন শানাকা।