আজ বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীরের কাছে আওয়ামী লীগের আয় ব্যয়-হিসেবের তথ্য জমা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি টিম দলের এই হিসাব কমিশনে জমা দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, টানা ছয় বছর ধরে বাড়ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বার্ষিক আয়। ২০১৮ পঞ্জিকা বছরে দলটির আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। যা বিগত সময়ের তুলনায় ৩৮.৪৫ শতাংশ বেশি।
২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা। বর্তমানে দলীয় তহবিলে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৭ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
২০১৮ সালে আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনেচ্ছু দলীয় সমর্থক-সদস্যদের ব্যাপক আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেছে দলটি। নির্বাচন উপলক্ষে ৩৬২৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে মনোনায়নপত্র ক্রয় করেছেন বলে জানানো হয়।
ইসির মিডিয়া সেন্টারে এইচটি ইমাম বলেন, এবার দলের আয় হয়েছে ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। ব্যয় হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা। দলের তহবিলে বর্তমানে ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৭ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগের আয় টানা ৬ বছর ধরেই বাড়ছে। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগেরর আয় ছিল ২০ কোটি ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪৩৬ টাকা। একই বছরে দলটির ব্যয় হয়েছে ১৩ কোটি
৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৯ টাকা। বছর শেষে তাদের ৬ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার ১১৭ টাকা উদ্বৃত ছিল।
২০১৬ সালে দলটির আয় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা। ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। উদ্বৃত ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা।
২০১৫ সালে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা আয় করেছে । ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা।
২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ বছর প্রায় ৬ কোটি টাকা দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।
২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ মেনে প্রতিবছর আর্থিক লেনদেনের হিসাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর।
কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে ইসি চাইলে তার নিবন্ধন বাতিল করতে পারে।
২০১৮ সালে ব্যায়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ অর্থাৎ ১০ কোটি ৫৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ১০০ টাকা ব্যায় হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নির্মাণ খাতে। ভবনটির নির্মাণ কাজ এ বছরই সমাপ্ত হয়েছে।