যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ নিষেধাজ্ঞার বলে যুক্তরাষ্ট্রে জারিফের কোনো সম্পদ থাকলে কর্তৃপক্ষ তা আটকে রাখতে পারবে অথবা মার্কিন সংস্থাগুলো সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) বেপরোয়া এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন জাভাদ জারিফ,’ মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এমনটি বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জারিফকে ‘বিশ্বব্যাপী ইরানি শাসকদের প্রাথমিক মুখপাত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মনুচিন।
অপরদিকে এক টুইটে জারিফ বলেছেন, তাকে মার্কিন এজেন্ডার জন্য হুমকি মনে করে বলেই যুক্তরাষ্ট্র তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘তার বা তার পরিবারের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না’ বলে জানিয়েছেন জারিফ।
বলেছেন, ‘ইরানের বাইরে আমার কোনো সম্পদ বা স্বার্থ নেই।’
- আরও পড়ুন, নিষেধাজ্ঞা : ইরানকে ছাড় দিচ্ছেন ট্রাম্প
ইরানের পারমাণবিক তৎপরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর দেশটির সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর পূর্ববর্তী সব নিষেধাজ্ঞা ফের আরোপ করার পর উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। ইরানের তেল রপ্তানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় দেশ দুটির মধ্যে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়।
সম্প্রতি ইরান উপকূলের সঙ্কীর্ণ হরমুজ প্রণালী ও এর আশপাশের জলপথে বেশ কয়েকটি ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
দেশ দুটির মধ্যে এমন উত্তেজনা চললেও এর মধ্যেই ইরানের সঙ্গে বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা বজায় রাখার সুযোগ দিতে রাশিয়া, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোকে দেওয়া ছাড়ের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার হোয়াই হাউসের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ‘৯০ দিনের জন্য’ এ সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।