সেপ্টেম্বরে আরও বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ

ডেস্ক রিপোর্ট

এডিস মশা
ফাইল ছবি

ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে সেপ্টেম্বর নাগাদ এই রোগের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ রোগ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আগে মশার প্রজননস্থল নির্মূলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

universel cardiac hospital

স্বাস্থ্য অধিদফতরে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা সবাই মিলেই মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি এডিস মশা নির্মূলে সফল হই তাহলে এটাকে থামাতে পারবো।

যদি কোনো কারণে কার্যকরভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে প্রতিবছর এটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যায়। পিক টাইম সেপ্টেম্বরে।

সুতরাং এখানে একটাই পদ্ধতি সেটা হচ্ছে রোগটির উৎপত্তি নষ্ট করা বা মশা নির্মূল করা। আমরা সবাই মিলে কাজ না করি তাহলে এ ধারা থামানো যাবে না।

সেদিক থেকে প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেটা না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। পরে আস্তে আস্তে কমে আসবে।

সাধারণত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর জুনের শুরুতেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের খবর আসতে থাকে।

জুলাইয়ে এসে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত নেত্রকোণা ছাড়া সবগুলো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে।

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রি-এজেন্টের সংকট দেখা দেওয়ায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে বক্তারা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ৫০ হাজার এনএসওয়ান কিট আমদানি করা হচ্ছে।

এগুলো যেহেতু দেশে তৈরি হয় না, এজন্য এগুলো আনতে কমপক্ষে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও এক লাখ কিট দেবে, যেগুলো আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেবো। যা বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

এরইমধ্যে ডেঙ্গু পরীক্ষায় ব্যবহৃত আরডিডি কিট সব জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গু গাইড লাইনও পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক আয়শা আক্তার।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে