ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামা হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানী বলেন, ‘তিন তালাক বিল পাশ করে মোদি সরকার মুসলিম নারীদের প্রতি অবিচার করেছে।’
রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল পাশের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ বিল মুসলিম নারীদের প্রতি ন্যায়বিচার নয় বরং অবিচার। বিবাহ বিচ্ছেদে মধ্যস্থতার এ আইনটি করার মাধ্যমে মুসলমানদের শরিয়াহ ও পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে মোদি সরকার।
বুধবার ভারতীয় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহমুদ মাদানী এসব কথা বলেন।
এ আইনের মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে জানিয়ে মাদানী বলেন, এ বিলটি মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য করার দাবি করলেও মুসলিমদের কোনো প্রতিনিধি বা শরিয়াহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেনি সরকার।
সরকারের একগুঁয়েমী মনোভাব থেকে এ বিলটি জোর করে পাশ করা হয়েছে। যা গণতান্ত্রিক যে কোনো দেশের জন্য লজ্জাজনক বিষয়।
ভারতের সংবিধান প্রদত্ত অধিকারের ধারাগুলোতে আদালত বা সংসদের মুসলমানদের ধর্মীয় ও পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও অধিকার নেই বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিতর্কিত তিন তালাব বিলে সম্মতি দেয়ার পূর্বে বিষয়টি নিয়ে ইসলামী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলতে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দের প্রিন্সিপাল মুফতি আবুল কাসেম নোমানী।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠানো চিঠিতে দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,বিতর্কিত বিলটি ক্ষমতাসীন সরকার গায়ের জোরে পাস করেছে।এতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মতামতের কোনো তোয়াক্কাই করা হয়নি। তাই বিলটিতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর না করে আবার রাজ্যসভায় ফেরত পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে দারুল উলুম দেওবন্দ।