সুনামগঞ্জ থেকে অপহৃত দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে বাগেরহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার দুইজন হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর উপজেলার টেকেরহাট মাটিকাটা এলাকার কয়লা ব্যবসায়ী নুরুল আলম ও মুসলিম মিয়া।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ ভিটাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. তুহিন শিকদার (২২), জেলার সদর উপজেলার উত্তর পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের রফিক হাওলাদারের ছেলে পারভেজ হাওলাদার (২৫) এবং কোমারখালী গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে মো. আজগর আলী (৩৫)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, গত ৩০ জুলাই কয়লা ব্যবসায়ী নুরুল আলম এবং মুসলিম মিয়ার সঙ্গে পিরোজপুর জেলার তুহিন ওরফে সৈকত শিকদারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। সৈকত নিজেকে ইটভাটা মালিক পরিচয় দিয়ে তাদের কাছ থেকে কয়লা কেনাবেচা করতে আগ্রহ দেখালে পরদিন নুরুল ও মুসলিম সৈকতের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি করতে পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে সৈকতের ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে রাজু নামে এক যুবক ওই দুইজনকে বাসস্ট্যান্ড থেকে লঞ্চঘাটে নিয়ে যায়।
সেখানে আসার পর তাদের ইটভাটা দেখানোর কথা বলে ট্রলারে উঠিয়ে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং তাদের কাছে থাকা ব্যাংকের চারটি চেক ও নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে এই অপহরণকারীরা তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এই ব্যবসায়ীরা অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পেতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে তাদের পরিবার ঘটনাটি পুলিশকে জানালে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা এস এ পরিবহণে মাধ্যমে ওই অপহরণকারীদের দিতে বলে ফাঁদ পাতে এবং অপহরণকারীদের গতিবিধি মনিটরিং করতে থাকে।
পুলিশ সুপার মাহফুজ জানান, মুক্তিপণের ওই টাকা অপহরণকারীরা এসএ পরিবহণে নিতে আসলে পুলিশ তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এলাকা থেকে অপহ্নত ওই দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাহেরপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।