শ্রীলঙ্কা সফরের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছিলেন, ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে জাতীয় দলের বাইরে বয়সভিত্তিক আর হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাইপলাইন থেকে নতুন খেলোয়াড় তুলে নিয়ে আসতে হবে। আন্তর্জাতিক আঙিনায় থিতু হতে তাঁদের যথেষ্ট সময়ও দিতে হবে।
যে পাইপলাইন থেকে খেলোয়াড় আসবে সেটি সমৃদ্ধ করতে বিসিবির উদ্যোগ কী? প্রশ্নটা কিছুদিন পর পরই ওঠে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে বিসিবির কার্যক্রম নেহাত কম নয়। প্রতি বছর এইচপি দল নিয়েও কাজ হয়।
তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না পাওয়ায় বিসিবি এবার একটু বেশি মনোযোগ দিচ্ছে পাইপলাইনে। সেটির অংশ হিসেবে কদিন আগে এক সঙ্গে বিসিবির চারটি দল ব্যস্ত ছিল। জাতীয় দল তো আছেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’, ভারতে বিসিবি একাদশ, ইংল্যান্ড সফরে অনূর্ধ্ব-১৯ দল, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং নারী দল।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান তাই বলছিলেন, ‘এক সঙ্গে আমাদের এতগুলো দল আগে কখনো খেলেনি।’
এখন খেলা না থাকলেও এইচপির কার্যক্রম থেমে নেই। শুরু হয়েছে অনুশীলন। ক’দিন পর বাংলাদেশ সফরে আসছে শ্রীলঙ্কান ইমার্জিং দল। বিসিবি এইচপি দলের বিপক্ষে ১৯, ২১, ২৪ আগস্ট তিনটি এক দিনের ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং টিম।
- আরও পড়ুন >> বেসামরিক লোকজনের ওপর ভারতের গুচ্ছ বোমা নিক্ষেপ!
প্রথম দুটি ম্যাচ বিকেএসপিতে, শেষটি খুলনায়। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামেই ২৭ আগস্ট শুরু সিরিজের প্রথম চার দিনের ম্যাচ। ৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে শুরু দ্বিতীয় ও শেষ চার দিনের ম্যাচটি।
শ্রীলঙ্কান এইচপি দলের সঙ্গে সিরিজ তো আছেই। এ সময় ১৫ জন পেসারকে নিয়ে আরেকটি কার্যক্রম শুরু করবে বিসিবি। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন বড় আশা নিয়ে দুদিন আগে বলছিলেন, ‘এই কার্যক্রমগুলো থেকে যদি ভালো সাড়া পাই, আশা করি দুর্দান্ত কিছু ক্রিকেটার পাব।’