মাদারীপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এনিয়ে গত এক সপ্তাহে মাদারীপুর জেলায় তিনজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৮ জনে।
এদের মধ্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল, শিবচর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৫ জন। বাকীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, বরিশাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই পৌরসভার উত্তর কৃষ্ণনগর এলাকার আব্দুর জব্বার মিয়ার মেয়ে নাদিরা বেগম (৪০) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এতে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১ জুলাই তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শুক্রবার রাতে নাদিরাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকা যাওয়ার পথে শুক্রবার রাতে নাদিরা বেগমের মৃত্যু হয়। এদিকে গত ৩০ জুলাই একইসঙ্গে নাদিরা বেগমের মেয়ে খাদিজা আক্তারও (১০) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, এনিয়ে মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজন মারা গেল। জেলার বেশির ভাগ রোগী ঢাকা বা অন্য জায়গা থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু বহন করে এনেছেন। এছাড়া ৫-৭ জন জেলা থেকে আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের চিকিৎসকদের ডেঙ্গুর ব্যাপারে আলাদা মনিটরিং করতে বলেছি।