প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত জীবনে লাভের জন্য আমার কিছুই করার নেই; বরং আমার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃত অর্থেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করা। যেই আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু দেশ পরিচালনা করেছিলেন।’
সেট্রাল লন্ডনে শনিবার আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘যতদিন আমি বেঁচে আছি ততদিন জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।’
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে লন্ডনের সেন্ট্রাল হলে এই আলোচনা সভা আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী গতমাসে লন্ডনে আসেন তাঁর চিকিৎসার জন্য এবং চলতি মাসের প্রথম সপ্তান্তে দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণদান কালে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁর প্রিয় পিতা এবং মা-ভাই সহ তাঁর গোটা পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার পর বিদেশে নির্বাসিত জীবন-যাপনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।
- আরও পড়ুন >> যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ২০
শেখ হাসিনা বলেন, এই আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের কালো রাতে তিনি তার পরিবারের প্রিয়জনকে হারিয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের একপর্যায়ে একাই দেশে ফিরেন।
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ হচ্ছে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির সাধন করা। এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ২০০১-২০০৬ সময়কালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়েছিল। তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিবরণ উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা নিরবচ্ছিন্ন দুর্নীতি, অর্থপাচার ও এতিমদের অর্থ লুটপাটের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল এবং নেতাকর্মীরা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন চালায়।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ চার জাতীয় নেতার বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করেন।