শেষ হলো ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার অর্থ ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস থেকে জব্দ ডকুমেন্ট নেয়ার দিন।
এখন থেকে ইউক্যাশ, বিকাশ, রকেটসহ যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্রাফিকের জরিমানার টাকা অন দ্য স্পট পরিশোধ করা যাবে। ফলে নগরবাসীর মূল্যবান সময় অপচয় হবে না এবং জব্দ ডকুমেন্ট হারিয়ে বা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকবে না।
রাজধানীর কাকরাইল রাজমনি ক্রসিংয়ে আজ রোববার দুপুরে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। সেখানে এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রফিক কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা আমাদের স্বপ্ন ছিল। আগে কাগজে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা করলেও এখন পজ মেশিনে প্রসিকিউশন দেয়া হয়। ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে ই-প্রসিকিউশন দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে মামলা দেয়ার সময় গাড়িচালক বা গাড়ির ডকুমেন্ট রেখে ডিজিটাল প্রিন্টেড কেস স্লিপ দেয়া হতো। ওই কেস স্লিপের জরিমানা ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিসে গিয়ে জব্দ ডকুমেন্ট ফেরত নিতে হতো, যা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ। এখন সময়ও বাঁচবে এবং কষ্টেরও অবসান হলো।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ (৪ আগস্ট) থেকে ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা ঘটনাস্থলে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যাবে। ঢাকা মহানগরীতে গাড়ি রেকারিংয়ে নগদ টাকা জরিমানা নেয়া হয়। এখন থেকে রেকারিং ও প্রসিকিউশনে কোনো নগদ টাকা জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না।
- ডেঙ্গু পরিস্থিতি : দেশে একদিনে রেকর্ড ১৮৭০ রোগী ভর্তি
- টেক্সাসের পর ওহিও অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ১০
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, আজ থেকেই ই-ক্যাশে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা দেয়া যাবে। এ সংক্রান্ত সফওয়্যার ট্রাফিক সদস্যদের মাঝে ইনস্টল করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পুরো সিটিকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।