প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে। এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শুধু হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছেন ২৪ হাজার ৮০৪ জন রোগী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৭ হাজার ৩৮৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ৭ হাজার ৩৯৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডাক্তার আয়েশা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, রাজধানীসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে সর্বসাকুল্যে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ২ হাজার ২৮৭ জন। এ ছাড়া জুলাই মাসে ১৫ হাজার ৬৫০ জন এবং চলতি আগস্ট মাসের গত চারদিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ৯৬৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৮৭০ জন অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ৭৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। চলতি বছর একদিনে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তির নতুন রেকর্ড। গত দুদিন (২ ও ৩ আগস্ট) হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও রোববার আবার তা বাড়তে শুরু করে।
রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বিরাজমান আবহাওয়া যেমন কখনও প্রখর রোদ, আবার কখনও বা থেমে থেমে বৃষ্টি। এতে ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার জন্ম বেশি হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু মশা নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে মশার ওষুধ ছিটানোসহ ডেঙ্গু সম্পর্কিত নানা সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। হাসপাতলে ডেঙ্গু সন্দেহে জ্বর নিয়ে প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু ভিড় করছে।
এদিকে সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তাই সামান্য জ্বর হলেও ডেঙ্গু সন্দেহে সবাই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। ক্রমাগত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা।
- পারস্য উপসাগরে বিদেশি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করল ইরান
- দালালের খপ্পরে পড়ে হজে যাওয়া হলো না ৩৭ হজযাত্রী
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ১ হাজার ৮৭০ জনের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে ১৩৪, মিটফোর্ডে ৯৭, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৯, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে ৫৫, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্টে ৩০, বারডেমে ১৩, বিএসএমএমইউতে ২৬, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ১৭, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৩, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানায় ৭, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩৬, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১১৩ জনসহ ১ হাজার ৫০ জন ভর্তি হন। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৪০০ এবং দেশের অন্যান্য বিভাগে ৮১৭ জন ভর্তি হয়েছেন।