বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপালে ভর্তি হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে তাঁর নিজ কার্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষণিক ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারী বলেন, স্যার হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে আমরা ওনাকে ল্যাবএইড হাসপালে নিয়ে আসি। ওনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে স্যারের জন্য দোয়া করবেন।
একনজরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের স্নেহভাজন ছাত্রনেতা মোকতাদির চৌধুরীর জীবনকথা
তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দয়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের মুজিব বাহিনীর অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে পাকিস্তানী বাহিনীর গুলিতে তাঁর একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সনে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন।
১৯৭৫ সনে জাতিরজনক শাহাদাত বরণ করলে দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্রআন্দোলন ও প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন।
১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতির পিতার হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নবেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন।এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সনের অক্টোবরে গ্রেফতার হয়ে প্রায় ২ বছর কারাবরণ করেন এবং ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পান।
১৯৮৩ সালের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ সনে খালেদা জিয়া কর্তৃক একতরফা নির্বাচনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অফিসারদের নিয়ে গঠিত জনতার মঞ্চের অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুইবার সদস্য মনোনীত হন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩(সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে পরপর ৩ বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করে যাচ্ছেন।