নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে

আদালত প্রতিবেদক

নুসরাত জাহান রাফি
নিহত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ফাইল ছবি

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে। আজ মঙ্গলবার ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় ৭৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যর মধ্যে এখন বাকি রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সেপেক্টর।

universel cardiac hospital

ফেনী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নুসরাত হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয় ২০ জুন। আদালত আগামীকাল বুধবার আরেকজনকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।   

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পিপি হাফেজ আহাম্মদ জানান, ফেনী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রতি কার্য দিবসে করছেন।

এ পর্যন্ত মামলার ৯২ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২৯ কার্য দিবসে ৭৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নুসরাত হত্যার ১৬ আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হলে মামলার ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তারা সবাই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

তিনি আরও জানান, আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীদের সহযোগীতা বিচার কাজ দ্রুত সমাপ্ত হতে সাহায্য করছে।

তিনি জানান, মূল আসামিদের সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা। ঈদের ছুটির পর তার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, নুসরাত হত্যা মামলার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে এ পর্যন্ত কোন স্বাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন না। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার সময় সকলে আশানুরুপ সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু জানান, নুসরাত হত্যা মামলা এত দ্রুত গতিতে চলছে যে আইনজীবীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। আদালতের কাজে সকল আইনজীবীর সমর্থন ছিল বলেই তা সম্ভব হচ্ছে।

অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, নুসরাত হত্যা আলোচিত ঘটনা। দ্রুত বিচরে এ মামলা নজির সৃষ্টি করবে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, মামলার স্বাক্ষীদের বড় একটি অংশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখেও সবাই সাক্ষ্য দিতে এসে মামলার গতি বাড়িয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাহ আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নির্যাতন করেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অধ্যক্ষ গ্রেফতার হন। পরে গত  ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাত জাহান রাফির শরীরে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সমর্থক দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে তার মৃত্যু হয়। এই হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। 

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে