কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত ও কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিয়ো নিউজ উর্দু জানায়, ০৭ জুলাই (বুধবার) দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে ভারত বিষয়ে পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে শীর্ষ নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হল-
১- ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস।
২- দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত।
৩- ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোর পর্যালোচনা করা হবে।
৪- অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।
৫- এ ছাড়া আগামী ১৪ আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আসন্ন স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় নির্মম বর্ণবাদী শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশের জন্য সমস্ত কূটনৈতিক চ্যানেলকে সক্রিয় করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয়ার এবং ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং এখানকার রাষ্ট্রদূতদেরও ফেরত পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার ভারতীয় পার্লামেন্টের রাজ্যসভায় ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তা প্রত্যাখ্যান করে।
৩৭০ ধারা বাতিলের তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কাশ্মীর একটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। যা আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্বীকৃত বিষয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর বিষয়ে ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত ওই রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা বাতিল করতে পারে না। কাশ্মীরি জনগণ ভারতের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।
ভারতের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের লড়াইয়ে কাশ্মীরি জনগণকে রাজনৈতিক,কূটনৈতিকসহ সর্বপ্রকারের সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে মুসলিম বিশ্বের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান।