রাজধানীর কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে খাল খননের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে দেওয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ ফেরত চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের দেওয়া চিঠির কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই এ আদেশ দেন।
গত সোমবার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন নামে একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এই রিট আবেদনটি করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে এলএ কেস নিষ্পত্তি করে বাজার মূল্য অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের পর আবার তা সংশোধন করে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিতে মো. ওয়াকিল উদ্দিনকে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দেওয়া চিঠি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী ও অ্যাডভোকেট মামুন চৌধুরী। পরে মামুন চৌধুরী জানান, কুড়িল-পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়কের দুই পাশে খাল খননের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর অধিগ্রহণ করা জমির বাজার মূল্য নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত করে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। একই সঙ্গে নির্ধারিত প্রাক্কলন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কিছু অংশকে ক্ষতিপূরণের টাকাও প্রদান করে। ২০১৭ সালে এসংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে তা চূড়ান্ত নিষ্পত্তিও করা হয়।
তিনি বলেন, এরপর গত বছর ঢাকা জেলা প্রশাসন বাজার মূল্য সংশোধন করে ক্ষতিপূরণ পুনর্নির্ধারণ করে। তখন তারা দেখে, কিছু কিছু মৌজায় পুনর্নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এরপর ডিসি অফিস সেই টাকা ফেরত চেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের চিঠি দেয়। পরে কথিত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দেওয়া চিঠি আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত উল্লেখ করে মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন নামে একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যক্রম ছয় মাস স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন।