বগুড়া ও শেরপুর জেলায় ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজারের পূর্বপাশের ব্রিজের ওপর এবং কাছাকাছি সময় শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট এলাকায় পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে এ পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
বগুড়ায় নিহতরা হলেন গাইবান্ধার সদর উপজেলার কাঁচদহ গ্রামের মন্টু সরকারের ছেলে ধনেশ সুকুমার (৩৮) এবং অপরজন হলেন নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বামিহাল গ্রামের বাসিন্দা রজব আলীর ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫)। তারা দুজনই সর্বহারা পার্টির সক্রিয় নেতা বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শেরপুরে নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর ভাষ্যমতে, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজারের পাশে দুই দলের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে- এমন সংবাদ পেয়ে শেরপুর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহলদল সেখানে যায়। সেখানে তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি পাইপ গান এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। পরে খোঁজ নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, নিহত আফজালের নামে বিভিন্ন থানায় অন্তত ২০টি এবং ধনেশের নামে ১১টি মামলা রয়েছে।
অপরদিকে, শেরপুরের সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধোপাঘাট এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই আরিফুল হকসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদেরকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র।
লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বুধবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে জানানোর কথা রয়েছে।