ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাশ্মীর ইস্যুতে জাতির উদ্দেশে আজ বৃহস্পতিবার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে। কাশ্মীর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। ফলে সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকার আর ভোগ করতে পারছেন না উপত্যকার মানুষ। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত দুটি রাজ্যে ভাগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি জম্মু-কাশ্মীর। অপরটি লাদাখ।
প্রথমটিতে বিধানসভা থাকলেও লাদাখে কোনো আইনসভা থাকবে না। কোন পরিস্থিতিতে এই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। তা ব্যাখ্যা করতেই সম্ভবত বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের একটি প্রস্তাব গত মঙ্গলবারই সংসদ অনুমোদন করে। রাজ্যকে দুটি ভাগে ভাগ করার প্রস্তাবও লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস হয়েছে। বিরোধীরা যা অগণতান্ত্রিক বলে সোচ্চার হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ খুব গুরত্বপূর্ণ।
- আরও পড়ুন, দেশের পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। ভারতের সাম্প্রতিক অবস্থানের জেরে দিল্লির সঙ্গে সমস্ত রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বাণিজ্যে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। ভারতে পাক রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।