ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ঈদুল আজহার প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ২৩৪ টন বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন অপসারণ করেছে বলে জানান ঢাকা উত্তরের নগরপিতা।
গুলশান নগর ভবনে মঙ্গলবার বর্জ্য অপসারণ অগ্রগতি সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি।
মেয়র জানান, ৪৩৮টি যানবাহন দুই হাজার ৪৪৯টি ট্রিপে এ পরিমাণ বর্জ্য অপসারণ করেছে। তবে এ হিসাবের মধ্যে নেয়া হয়নি বিভিন্ন হাটের বর্জ্য। হাটের তুলনায় পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রাধান্য দেয়াতে বেশকিছু হাটের বর্জ্য এখনও রয়ে গেছে। তবে সেগুলোও দ্রুত অপসারণ করা হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, এবার আড়াই লাখেরও বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির দুই হাজার ৪০০ কর্মীসহ ৯ হাজার ৫০০ কর্মী নিয়োজিত ছিল। সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন সোমবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ৭, ১১, ৩, ৩১ ও ১৭ (আগে পরিষ্কারের ভিত্তিতে) ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা নিজ নিজ ওয়ার্ড বর্জ্যমুক্ত ঘোষণা করেন। আর মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে বাকি সব অঞ্চলের কোরবানির পশুর বর্জ্য শূন্য করা হয়।
বর্জ্য অপসারণ করা প্রথম তিনটি ওয়ার্ডকে পুরস্কার দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এবার সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির হার আগের থেকে বেশি হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
আতিকুল বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির মাংস বাসায় পৌঁছে দেয়ায় আগের তুলনায় অনেকে উৎসাহিত হয়ে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে ৪০০টি পশু এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৮টি স্থানে প্রায় ৭০টি পশু জবাই করা হয়। এসব ওয়ার্ডে চার থেকে ১০টি পর্যন্ত গাড়িতে করে নাগরিকদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়া হয়।
অন্যবারের তুলনায় এবার বর্জ্য অপসারণ দ্রুত হয়েছে দাবি করে এজন্য নগরবাসী এবং সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন মেয়র।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।