এজবাস্টনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন নাথান লায়ন। লর্ডসে নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। গতি নয়, নিখুঁত লাইন-লেন্থেই ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছেন তাঁরা। চোটপ্রবণ জেমস প্যাটিনসনের বদলি হিসেবে গতির ঝড় তুলতে সক্ষম মিচেল স্টার্ককে না নিয়ে জস হ্যাজলউডকে নেওয়াই হয়েছে জায়গা বুঝে বল করার সামর্থ্য আছে বলে। সেটি তিনি কাজে লাগাচ্ছেনও।
বৃষ্টিতে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন হ্যাজলউডই ম্যাচের গতিপথ বদলে দিলেন। হ্যাজলউডের দারুণ বোলিংয়ে ইংল্যান্ড ২৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন হ্যাজলউড। ৬১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ৪৮ রানে পিটার সিডল একটি ও ৬৮ রানে লায়ন পেয়েছেন ৩ টি উইকেট।
১৩৮ রানেই ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে রানটা ২১০-এ নিয়ে গেছেন জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকস। পাল্টা আক্রমণ করে ৭২ রানের জুটি গড়ে কোনোভাবে রক্ষা করেছেন ইংল্যান্ডকে। ওকস ফিরেছেন ৩২ রানে। ইংলিশদের ত্রাণকর্তা হিসেবে বেয়ারস্টো করেন ৫২ রান।
- আরও পড়ুন >> মিয়ানমারের সামরিক কলেজে হামলায় নিহত ১৫
লর্ডসের মেঘলা আকাশের নিচে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন। ইনিংসের শুরুতেই আগ্রাসী জেসন রয়কে শূন্য রানে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান হ্যাজলউড। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অধিনায়ক জো রুট। ১৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন হ্যাজলউডের লেন্থ থেকে ভেতরে আসা বলে।
শুরুর ধাক্কাটা কিছুটা হলেও সামাল দিয়েছিলেন জো ডেনলি ও ওপেনার রোরি বার্নস। হ্যাজলউড তৃতীয়বারের মতো আঘাত করার আগে ৬৬ রান যোগ করেন এই জুটি। ৬৭ বলে ৩০ রান করা ডেনলিকে হ্যাজলউড আউট করলে ইংলিশ মিডল অর্ডারের দুয়ারটা সেখানেই খুলে যায়।
একে একে আউট হন দুবার জীবন পেয়ে ৫৩ রান করা রোরি বার্নস, জস বাটলার ও বেন স্টোকস।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১ উইকেট ১৭ রান। ৩ রান করে সাজ ঘরে ফিরে গেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। বেন ক্রফট ও উসমান খাজা যথাক্রমে ৪ ও ২ রানে ব্যাট করছেন।