ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলকে কেন্দ্র করে চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘকে আরও সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুটি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককেও স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে শনিবার তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর ডেইলি সাবাহর।
কাশ্মীর নিয়ে শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক মনে করে যে, সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিরোধ নিষ্পত্তি করা উচিত। পাশাপাশি উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এমন অশান্ত ও একতরফা পদক্ষেপগুলি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু-কাশ্মীরের সমস্যা সমাধানের জন্য পূর্ববর্তী নীতিমালা অনুযায়ী জাতিসংঘের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত, যা পাক-ভারত সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) বাতিল করে দিয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়েছে।
কাশ্মীরী সংগঠনগুলো বলেছে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের অর্থ হলো সেখানকার অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা। আইনটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপত্যাটিকে কয়েক দিন আগে থেকেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে হিমালয় অঞ্চলটির সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘোষণাকে সামনে রেখে কাশ্মীরের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
- আরও পড়ুন >> কুমিল্লায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৭
এই মুহূর্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে সামরিকীকৃত এলাকায় পরিণত হয়েছে। সেনাবাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্য মিলিয়ে সেখানে ৭ লক্ষাধিক নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
অস্থায়ী কারাগার বানানো হয়েছে হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ভবনকে। কাশ্মীরের পুরো উপত্যকাটি যেন পরিণত হয়েছে একটি কারাগারে।