পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শাসক’ বলেছেন।
আজ রোববার ইমরান খান টুইটারে লিখেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিকে অ্যাডলফ হিটলার নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল নাৎসি বাহিনী (ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়ার্কাস পার্টি) নেতৃত্ব দেয়। বর্তমানে তেমনি একজন ফ্যাসিস্ট শাসক ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কাশ্মীরের নব্বই লাখ মানুষ বন্দি জীবন কাটাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে, ভারতের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাতিল করেছে ইমরান খানের সরকার।
ইমরান খান ধারাবাহিক টুইটে ভারতের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
টুইটে লিখেন, কাশ্মীর থেকে বিশ্বের নজর ভিন্ন দিকে ঘোরানোর উদ্দেশ্যেই পরমাণু যুদ্ধ করতে পারে ভারত। তাদের পরমাণু অস্ত্র অন্য দেশগুলির জন্য কতটা নিরাপদ তা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে বিবেচনা করতে হবে। কারণ পরমাণু যুদ্ধের প্রভাব শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রেও এ যুদ্ধের প্রভাব পরবে।
এদিকে, গতকাল শনিবার ভারতের পরমাণু হামলা মোকাবেলায় পাকিস্তান সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছিল পাকিস্তান।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ইমরান সরকারের শীর্ষ স্তরের মন্ত্রী, অফিসার ও উচ্চপদস্থ সেনাকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। তার পরেই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর।
সেখানে গফুর বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের সন্দেহটা হালে খুবই জোরাল হয়েছে যে, কাশ্মীর থেকে সমগ্র বিশ্বের নজর ঘোরাতে বড়সড় পরমাণু হানাদারি চালাতে পারে ভারত। তবে তার জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছি।
মেজর জেনারেল গফুর আরও জানান, ভারত জোর করেই যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারে। সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান।
পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি জানান, কাশ্মীর পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশেষ কাশ্মীর সেল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করতে যে সব দেশে পাক দূতাবাস রয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই কয়েকজন বিশেষ দূত নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ইতালির জাতীয় শ্রমিক আন্দোলন জাতীয়তাবাদ থেকে ফ্যাসিবাদ উত্থান হয়। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার এবং ইতালির বেনিতো মুসোলিনি উল্লেখযোগ্য।