জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন একতরফাভাবে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রেক্ষিতে আগামীতে যাতে কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা হাতের বাইরে না যায় তার জন্য বিশেষ কৌশলী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে। সূত্রের খবর, এটি ৪টি স্তরে কার্যকর হবে। এনডিটিভি।
প্রথম স্তরে থাকবেন খেতাবপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা। যাদের বলা হচ্ছে ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকার্স’। এ দলের সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বুদ্ধিজীবীদের সব সমাবেশে উপস্থিত থাকবে। যাবে, রাজনৈতিক দলগুলির নানা অনুষ্ঠানেও। জমায়েত থেকে আন্দোলন বা সহিংসতায় মদদ দিচ্ছে কি-না সে বিষয়েও নজর রাখবে তারা। এক্ষেত্রে প্রশাসন অভিযুক্তদের আটক করতে পারে। এমনকি গৃহবন্দি করেও রাখতে পারবে।
শান্তি বজায় রাখতে সরকারের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হবে, কাশ্মীরী যুবক যারা প্ররোচিত হয়ে পাথর ছোঁড়ে তাদের আটকানো। এক্ষেত্রে কমিউনিটি বন্ডের চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। পরিবার থেকে মুচলেকা নেওয়া হবে এই মর্মে যে, তাদের পরিবারের যুবকরা পাথর ছোঁড়ার মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকবে না।
তৃতীয়ত, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে প্রায়ই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রবেশ করে। কাশ্মীরকে শান্ত রাখতে যা বন্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। সীমান্তে সেনা আরও সতর্ক থাকবে। পাঞ্জাব ও জম্মুর সীমান্তের নিরাপত্তাও কড়া করা হবে।
এছাড়া প্রশাসন ধর্মীয় প্রধানদের কার্যকলাপে নজর রাখবে। কারণ অনেক সময় তাদের মাধ্যমেও বিক্ষোভ ছড়াতে পরে। ফলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে বলে ধারণা করছে প্রশাসন। এক্ষেত্রে সরকার খুবই কড়া মনোভাব নিচ্ছে ও প্রমাণ মিললেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, একতরফা ৩৭০ ধারা বাতিল করতে দুসপ্তাহের বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা জোরাল করেছে প্রশাসন। প্রথমে, পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে আটক করা হয়। কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৪০০ কর্মী বর্তমানে জেলে।