ভিখারি লিখলেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ছবি দেখা যাচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন অবদমন ও হাসির খোরাক হওয়ার নেপথ্যে পাকিস্তানের বর্তমান ভঙ্গুর অর্থনীতিকেই প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ—প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই করছে এখন। অর্থনৈতিক অস্থিরতা কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকে ঋণ চেয়ে বেড়ানোর কারণেই ইমরান এমন হাসির পাত্র হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইমরান খানের এমন হাসির পাত্র হওয়ার খবর ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে ঘটা করে প্রকাশ করা হলেও পাকিস্তানের কোনো গণমাধ্যম তাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গুগলের ভিক্ষারি সার্চের কোনো সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যে পাকিস্তান এনহ্যানসড পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট বা পেপা এর আওতায় পাকিস্তান যে সাড়ে ৪০০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা পাওয়ার কথা তা ফের ৪৪ কোটি ডলার কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন সংকটের দোরগোড়ায় চলে গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই অবস্থা থেকে বের হতে পাকিস্তানের এখন কিছু সাহসী অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া দরকার।
সম্প্রতি বছরে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশগুলো থেকে পাকিস্তান কয়েক বিলিয়ন ডলার অর্থসহায়তা পেয়েছে। তবে শুধু অর্থ সহায়তা নয় বড়ও ধরনের ঋণও প্রয়োজন দেশটির। ১৯৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানকে ১৩ বার অর্থ সহায়তা দিয়েছে আইএমএফ।