চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতন : তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

মত ও পথ রিপোর্ট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

কোরবানির পশুর চামড়ার অস্বাভাবিক দরপতনের তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে চামড়ার দরপতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতেও বলা হয়েছে।

এ ছাড়া কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের অস্বাভাবিক দরপতন কেন অবৈধ হবে না-মর্মে রুল জারিরও আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

universel cardiac hospital

১৮ আগস্ট (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী মহিউদ্দিন ফরহাদ হানিফ এ রিট করেন।

হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারী এ আইনজীবী।

উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ কমে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে।

এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়া মাত্র ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাত্র ৬০ টাকায়ও গরুর চামড়া বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষ ৫০০ টাকায় গরুর চামড়া বেচা-বিক্রি হয়। আর একটি ছাগলের চামড়া ২০ টাকা ও বকরির চামড়া ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ঈদের দিন শুরু থেকে কোরবানিদাতারা চামড়া বিক্রির লোক খুঁজে পায়নি। যারা বিক্রি করতে পেরেছেন তাও নামমাত্র মূল্যে। ন্যায্যমূল্যে না পেয়ে অনেক মাদ্রাসা ও এতিমখানার, লোকজনকে বিনাপয়সায় দিয়েছেন।

দাম না পেয়ে অনেকেই চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখে এবং সড়ক ও নদীতে ফেলে দেয়। নষ্ট হয় কয়েক লাখ চামড়া। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে