ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ট্যাংক ও হেলিকপ্টার থেকে দখলদার বাহিনীর গুলিবর্ষণে আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি।
ফিলিস্তিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রোববার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাংশের সীমানা ঘেঁষে ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি, গাজা সীমান্তে সশস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতি লক্ষ্য করেই তারা গুলি চালিয়েছে।
এর আগে শনিবার গাজায় রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজা থেকে ইসরাইলের ভেতরে তিনটি রকেট নিক্ষেপ হয়েছে অভিযোগ করে এ হামলা চালায় তারা। তবে এসব হামলায় ইসরাইলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে দেশটি।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিজের অবৈধ উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রামী ফিলিস্তিনিদের এভাবে হত্যা করে আসছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী।
ঈদুল আজহার দিনেও ইসলামের প্রথম কেবলা পবিত্র আল আকসা মসজিদে ঈদের নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের অতর্কিত হামলায় ১৪ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। এ দিন লক্ষাধিক মুসল্লি আল আকসায় ঈদ জামাতে শামিল হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ মসজিদ প্রাঙ্গণে উগ্রবাদী ইহুদিদের ঢুকার অনুমতি দেয়ার পর থেকেই এখানে সংঘর্ষ নিত্যনৈমিতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কট্টরপন্থী ইহুদীরা চাচ্ছে পবিত্র এ মসজিদ ভেঙে এখানে একটি সিনাগগ নির্মাণ করতে। তাদের এ উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা।
মসজিদের জর্ডান বংশোদ্ভূত ইমাম খলিল আশালি বলেন, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে পবিত্র এ মসজিদটি অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। তখন থেকেই মসল্লিদের ওপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে।