গাজীপুর নগরীতে বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার দুদিন পর আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
তারা হলেন- ইয়াকুব আলী মন্ডল (৬৫) ও নুর মোহাম্মদ (৮০)।
গত শনিবার গাজীপুর নগরীর সালনা কাথোরা মন্ডলবাড়ি এলাকায় একটি বাসা বাড়িতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরলে চারজন দগ্ধ হন, যাদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ওই পরিবারের আরেকজনকে গাজীপুর চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওইদিনই দগ্ধ গৃহকর্ত্রী আকলিমা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো। সোমবার মারা যাওয়া ইয়াকুব আলী মন্ডল আকলিমার স্বামী এবং নুর মোহাম্মদ আকলিমার বাবা।
আকলিমার পুত্রবধূ সাদিয়া আফরিন সাথী জানান, তার শাশুরি আকলিমা বেগমের শরীরের ৯৫ ভাগ পুড়েছিল। ঢাকা মেডিকেলে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর দুইদিন পর সোমবার দুপুরে মারা গেলেন তার স্বামী ও বাবা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ইয়াকুব আলীর শরীরের শতভাগ, আকলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ এবং নুর মেহাম্মদের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় কাথোরা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. ওয়াদুদ জানান, একতলা ভবনের এক ইউনিটের একটি কক্ষে ইয়াকুব ও তার স্ত্রী এবং পাশের কক্ষে স্বপন ও তার নানা ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে বিকট শব্দে কক্ষের দরজা জানালা ভেঙ্গে যায় এবং আগুন ধরে। পরে এলাকাবাসী গিয়ে আগুন নিভিয়ে কক্ষ থেকে দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং সামান্য আহতেআকলিমার ছেলে স্বপনকে (২২) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। আগুনে ঘরের খাট, বিছানা-পত্র, কাপড়-চোপড়সহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই বাড়ির রান্নাঘর অক্ষত ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘরে ভেতরে তিতাস গ্যাসের পাইপ থেকে নির্গত জমে থাকা গ্যাসে বৈদ্যুতিক শর্ট সর্কিট কিংবা দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরাতে গিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।