ঢাকায় সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিমেয় ও তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার স্মৃতি অক্ষয় হয়ে থাকবে।
জয়শংকর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তাকে স্বাগত জানান। এসময় জাদুঘরের প্রধান নির্বাহী মাশুরা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ড. এস জয়শঙ্কর। রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছালে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর এটি। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করার মতো অনেক বিষয় আছে।আমরা দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।
জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে এই সফরে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের আগে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফরকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফরে যাচ্ছেন।
জয়শঙ্কর সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া শেখ হাসিনার সফরের বিস্তারিত কর্মসূচি এ সফরে নির্ধারণ করা হতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ইতিপূর্বে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে বাংলাদেশ সফর করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির আলোকে জয়শঙ্কর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সফর করেছেন ভুটান।
এবার বাংলাদেশ সফর করছেন। মোদির ঘনিষ্ঠ ও অনুগত হিসেবে পরিচিত জয়শঙ্কর দেশটির বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী একজন মন্ত্রী।
তার সফরকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিসহ অভিন্ন নদীর পানির ভাগাভাগি, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহযোগিতা, ভারতের ঋণের বিষয়সহ সার্বিক দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হবে।