জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা কমিটির সভায় অংশ নিতে দীর্ঘ ১০ বছর পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে জাবি শাখা ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় প্রক্টরিয়াল বডির নিরাপত্তা বহরের সঙ্গে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন জাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত।
২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ক্যাম্পসে প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি ছাত্রদলকে। তবে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে ঝটিকা মিছিল করতে দেখা গেছে তাদের।
মঙ্গলবারের সভায় অংশ নিয়ে জাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনের বিষয়ে ছাত্রদল নিজেদের প্রস্তাবনা ও প্রশাসন বরাবর ৫ দফা দাবি তুলে ধরে।
তাদের দাবিগুলো হলো- যে সকল শিক্ষার্থী রাজনৈতিক এবং যুক্তিযুক্ত কারণে শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারেনি তাদের পুনরায় ভর্তির সুযোগ ও জাকসুর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত, সহাবস্থানের আগে জাকসুর তফসিল ঘোষণা না করা, নির্বাচন প্রস্তুতি ও প্রচারকালীন সময়ে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও পুলিশী হয়রানি বন্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সকল মামলা প্রত্যাহার করা। এছাড়া জাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনে বিভিন্ন প্রস্তাবনার কথাও জানান তারা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত মত ও পথকে বলেন, আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট। আলোচনায় আন্তরিকতা ছিল। তবে তা থাকবে কিনা সেটাই বিষয়। আমরা বৈঠকে নিজেদের দাবিগুলো জানিয়েছি। প্রশাসনের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা চাই সকল দলের সহাবস্থানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর ক্যাম্পাসে আসার ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে এ ব্যাপারেও আমরা প্রশাসনকে বলেছি।
ছাত্রলীগের বাধার কারণে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের বাধার কারণে আমরা ক্যাম্পাসে আসতে পারিনি। আমাদের দাবিগুলোও প্রশাসনের সামনে উপস্থাপন করতে পারিনি। সাংগঠনিক কোন কর্মসূচিও ক্যাম্পাসে পালন করতে পারিনি আমরা।
জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, আমরা সবসময় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিতের কথা বলেছি। আমরা সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি জাকসু নির্বাচন চাই। আর আমরা বাধা দিলে তারা আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারত না। তাই তাদের এ অভিযোগ ভিত্তিহীন।