বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এ সময় বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল দশমিক ৫৭ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে-ই-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়ন হয়েছে টাকার অংকে ৩ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২৭ কোটি টাকা।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন সরাসরি প্রকল্প পরিচালকদের প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে থাকি। আগে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হতো। এখন সরাসরি প্রকল্প পরিচালকদের টাকা দেওয়ার কারণেই এই বাস্তবায়ন বেশি হয়েছে বলে আমি মনে করছি।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, জুলাই মাসে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ মোদীর
- কাশ্মীর ইস্যু : পাশে পেতে আমিরাত বাহরাইন ফ্রান্সে যাচ্ছেন মোদি
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঈদের কারণে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। তাছাড়া বন্যার কারণে অনেক শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ চেইনের মধ্যে সমস্যা ছিল। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেও কিছুটা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
এদিকে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমেছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬০
শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে।